* অস্বাভাবিক আচার-আচরণ, মানসিক অশান্তি, বিষণ্ণতা, ভয়ভীতি, উদ্বিগ্নতা, খাওয়া-ঘুম-গোসল কম/বেশি হওয়া, মাথা ব্যথা ও দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা-বেদনা, সূচীবাই, আত্নহত্যার ইচ্ছা বা প্রবণতা, সন্দেহ বাতিক, ভ্রান্ত বিশ্বাস, এক একা হাসা ও কথা বলা, কানে গায়েবী আওয়াজ শোনা, অলীক বস্তু চোখে দেখা, নিজেকে অতি বেশি ক্ষমতাবান ভাবা, মাত্রাতিরিক্ত টাকা-পয়সা খরচ করা প্রভৃতি।
* মাদকাসক্তি ও নেশাজনিত সমস্যা, যৌন সমস্যা; ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও দাম্পত্য সমস্যা; কর্মক্ষেত্রে স্ট্রেস বা চাপ জনিত সমস্যা প্রভৃতি।
* তথাকথিত জ্বীন-পরীর আছর, খিঁচুনি, মৃগীজনিত সমস্যা, অতিরিক্ত রাগ ও ক্রোধ প্রবণতা।
* শিশুদের অতি চঞ্চলতা, বুদ্ধিহীনতা, কথা বলায় সমস্যা, লেখাপড়ায় অমনোযোগীতা প্রভৃতি।
* বয়স্কদের স্মৃতি ভ্রংশতা ও নানাবিধ মানসিক সমস্যা।
* মানসিক রোগের লক্ষণগুলোকে অধিকাংশ সময়ই মানুষ অবজ্ঞা করে । সচেতনতার অভাবে নানাবিধ অবৈজ্ঞানিক ও অপচিকিৎসা করায় ও অবহেলা করে । এছাড়া কুসংস্কারের কারণে রোগী ও তার পরিবারের ভোগান্তি বাড়ে ।
* মানসিক রোগ ব্রেন বা মস্তিস্কের রোগ। সব মানসিক রোগের বৈজ্ঞানিক চিকিৎসা আছে। যথাযথ ঔষধ সেবন, সাইকো থেরাপী ও বিহেভিয়ার থেরাপী প্রভৃতির মাধ্যমে মানসিক রোগ ও যৌন সমস্যার চিকিৎসা করা হয় । সময়মত রোগ নির্ণয় এবং উপযুক্ত ও বিজ্ঞান সম্মত চিকিৎসা গ্রহন করলে অধিকাংশ মানসিক রোগী সুস্থ্য হয়।